প্রতিবছর তিস্তা অববাহিকায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বছরে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে, বদলে যাবে তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন।
প্রতি বছর ৪০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত, উত্তরাঞ্চলে বাড়ছে দারিদ্র্য।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বহুদিন ধরে ভারতের হস্তক্ষেপে আটকে ছিল, তবে জুলাই বিপ্লবের পর আশায় বুক বেঁধেছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলছেন, “এক বছর অপেক্ষা করুন, আপনাদের মতামত ছাড়াই কোনো পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে না।”
১৩ হাজার ১১৬ কোটি টাকার জমি উদ্ধার, বছরে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা, স্যাটেলাইট টাউন, সড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্মসংস্থান ১০ লাখ মানুষের—এসবই সম্ভব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
তিস্তা বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, “মহাপরিকল্পনা হলে নদীভাঙন থেকে মুক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”
তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “আমরা চাই ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান, তিস্তা যেন দুঃখের নদী না হয়ে ভালোবাসার নদী হয়।”
উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের স্বার্থে স্থায়ী সমাধান একটাই—তিস্তা মহাপরিকল্পনা।